ইসরাফিল নাঈম, চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে: ভোলার চরফ্যাশনে দাফনের চার মাস পর কবর থেকে নুরজাহান নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। নিহত গৃহবধুর বাবার দায়েরকৃত হত্যা মামলায় আদালতে নির্দেশে শনিবার ( ৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে চরফ্যাশন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সালেক মুহিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমহন সার্কেল) বাবুল আক্তার ও শশীভূষণ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে রসুলপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডস্থ উত্তর আইচা গ্রামের ফজলে রহমান পন্ডিত বাড়ির মসজিদের কবরস্থান থেকে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি উত্তোলন করা হয়।
আদালতে দায়েরকৃত মামলা জানা-গেছে, ২০০৯ সনে নুরজাহানকে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ চর আইচা গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে মো. জাকির হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য স্বামী স্ত্রী বিরোধ চলে আসছে। স্বামী জাকির হোসেন তাকে প্রায়ই মারধর করতো । এরই মধ্যে জাকির হোসেন ফাহিমা নামের এক নারীর সঙ্গে পরকিয়ায় জড়ায়। পরকীয়া প্রেমিকা ফাহিমাকে বিয়ে করার জন্য স্ত্রী নুরজাহানকে স্বামী জাকির হোসেন হত্যা করেছে বলে মামলায় দাবী করেছেন নিহতের বাবা মো. মোস্তফা।
বাদী মো. মোস্তফা জানান, মামলায় উল্লেখ করেছেন, নুরজাহানকে হত্যা করে ২২দিন পর জাকির হোসেন পরকীয়া প্রেমিকা ফাহিমাকে বিয়ে করে ঘরে এনেছেন এবং নুর জাহানের পুত্র এবং কন্যা সন্তানদেরকে তার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। নাতিদের মুখে মেয়েকে হত্যার ঘটনা জানতে পারেন তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ মে স্বামী গৃহে নুরজাহান নিহতের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিহতের বাবা মোস্তফা বাদী হয়ে ৫জুলাই চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তার মেয়েকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিহতের স্বামী জাকির হোসেন , জামাতার পরকীয়া প্রেমিকা ফাহিমা , ভাই নুরুল হক, আইয়ুব আলী, বোন ছালমা ও নাছিমাকে আসামী করা হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সালেক মুহিদ জানান, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে গৃহবধুর লাশটি উত্তোলন করা হয়েছে।